এক নজরে কেন্দ্রীয় মৎস্য হ্যাচারী কমপ্লেক্স
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মৎস্য চাষী, মৎস্যজীবী, হ্যাচারী মালিক ও নার্সারী মালিকদের উন্নত জাতের কার্প জাতীয় মাছের ব্রুড, রেণু ও পোনা সরবরাহ ও জনগণকে মাছ চাষে উদ্বুদ্ধ করণের লক্ষ্যে ১৯৮৪ ইং সনে কেন্দ্রীয় মৎস্য হ্যাচারী কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা করা হয়। হ্যাচারী কমপ্লেক্স-এর মাধ্যমে প্রযুক্তি হস্তান্তর ও সম্প্রসারণমূলক কার্যক্রম পরিচালিত হওয়ার কারণে অত্র এলাকায় কার্প হ্যাচারী ও নার্সারী শিল্পে বিপ্লব সাধিত হয়েছে। ইতোমধ্যে শুধুমাত্র যশোর ও ঝিনাইদহ জেলাতেই ২০০টিরও বেশী কার্প হ্যাচারী ও ৩৫০০ টির বেশী নার্সারী প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
অত্র এলাকায় অধিক সংখ্যক হ্যাচারী ও নার্সারী গড়ে উঠার ফলে জন সাধারণ অতি সহজে স্বল্প মূল্যে উন্নত প্রজাতির গুনগত মানসম্পন্ন রেণু ও পোনা কিনতে সক্ষম হচ্ছে। ফলে অত্র এলাকার বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি মৎস্য রেণুু ও পোনা প্রাপ্তির নিশ্চয়তার কারণে মাছের উৎপাদন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
কেন্দ্রীয় মৎস্য হ্যাচারী কমপ্লেক্স, কোটচাঁদপুর, ঝিনাইদহ প্রাকৃতিক উৎস (হালদা, যমুনা ও পদ্মা) হতে রেনু সংগ্রহ ও প্রতিপালন করে উন্নত জাতের পোনা ও ব্রুড মাছ উৎপাদন করতঃ মৎস্যচাষী ও হ্যাচারী মালিকদের নিকট সুলভ মূল্যে বিক্রয় করেছে। ফলে এতদাঞ্চলের উন্নত জাতের ব্রুডের চাহিদা অনেকাংশে পুরণ করা সম্ভব হয়েছে এবং আন্তঃপ্রজনন সমস্যা বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছে।
কেন্দ্রীয় মৎস্য হ্যাচারী প্রতিষ্ঠা হওয়ার কারণে মাছ চাষের আধুনিক কলাকৌশল ও সর্বশেষ লাগসই প্রযুক্তি অতিদ্রুত মৎস্যচাষীদের মাঝে পৌছে দেয়া হচ্ছে। সে কারণে অত্র এলাকায় মাছ চাষ ব্যাপক প্রসার লাভ করেছে। অত্র হ্যাচারী কমপ্লেক্স প্রতিনিয়ত বিভিন্ন স্থান থেকে আগত মৎস্যচাষীদের সমস্যা শ্রবণ করে এবং তার সুষ্ঠু সমাধানের পরামর্শ প্রদান করে থাকে। এছাড়াও মোবাইলে প্রতিদিন অনেক চাষী তাদের সমস্যার কথা বলেন এবং পরামর্শ গ্রহণ করে থাকেন।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS